চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে ঘাটে ঘাটে তৎপর চাঁদাবাজদের কারণে দিশেহারা এখন সিএনজি অটোরিক্সা চালকরা। সড়ক প্রতিটি ষ্ট্যা-ে সংঘবদ্ধ চক্র চালকদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করে অটোরিক্সা চালক সমিতির ব্যানারে। ভুক্তভোগী চালকরা বলেছেন এই সড়কের সবচেয়ে শক্তিশালী চাঁদাবাজ চক্রটির অবস্থান কাপ্তাই রাস্তার মাথা মোহরায়। খবর নিয়ে জানা যায় রাস্তার মাথার অবস্থান সিটিকর্পোরেশনের মধ্যে। চাঁদাবাজদের যুক্তি এখানে চট্টগ্রাম জেলার নিবন্ধিত নাম্বারের গাড়ি আসতে হলে চাঁদা দিতে হবে। চালকরা বলেছেন আগে টোকেনের দাম ছিল সাত শত টাকা। এখন টোকেনদাতারা ঘোষনা দিয়েছে নতুন টোকেন নিতে হলে এক হাজার করে দিতে হবে। সড়কে চলাচলকারী সিএনজি চালকদের আরো অভিযোগ এখানে যাত্রি নামিয়ে ফেরার পথে এখান থেকে সিএনজিতে যাত্রি উঠালেই প্রতিবার দিতে হয় দশ টাকা করে চাঁদা।
কাপ্তাই রাস্তার মাথায় চালক যাত্রিদের হয়রানীর দৃশ্য দেখতে সরেজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায় এখানে সড়কের শৃংঙ্খলা রক্ষার নামে লাঠি হাতে তৎপর আছে আট থেকে দশ যুবক। তাদের কেউ খালি সিএনজির বডি ও হুটে লাঠি চালিয়ে স্থান ত্যাগে ব্যধ্য করছে। এমন পরিস্থিতির মধ্যে শিশু নিয়ে থাকা নারী যাত্রিরা আহত হয় বলে অনেকই অভিযোগ করেছে। পরিদর্শনকালে দেখা যায় চাঁদাবাজদের কেউ কেউ যানজট এলাকার কিছুটা ফাঁকা জায়গায় দাঁড়িয়ে যাত্রি নিয়ে যাওয়া সিএনজির পথ রোধ করে দশ টাকা করে চাঁদা নিয়ে ছাড়ছে।
চাঁদাবাজ চক্রটি হাতে জিম্মী হয়ে থাকা চালক ও যাত্রী সকলেই বলেছেন কাপ্তাই সড়কে গণপরিবহন (বাস) সংখ্যা খুবই কম। একারণে কাপ্তাই চন্দ্রঘোনা রাঙ্গুনিয়া, রাউজানের শহরমুখি মানুষ নির্ভরশীল সিএনজি অটোরিক্সার উপর। খবর নিয়ে জানা যায় কাপ্তাই রাস্তার মাথা ছাড়াও চালক সমিতির নামে টোকেন বানিজ্য চলে কাপ্তাই সড়ক পথে থাকা জনকোলাহলপূর্ণ সিএনজি ষ্ট্র্যা- সমূহেও। বিষয়টি নিয়ে কথা হলে নোয়াপাড়া অটোরিক্সা কল্যাণ সমিতির সভাপতি নোয়াপাড়া ইউনিয়নের মেম্বার সেকান্দর বলেন, রাউজানের নোয়াপাড়া, মগদাই, রাঙ্গুনিয়া, রাউজান, কাপ্তাই সড়কে রাউজান নোয়াপাড়া অটোরিক্সা চালক সমিতির অধিনে ১ হাজার সিএনজি অটো রিক্সা চলাচল করেন। রাস্তার মাথায় সমিতির নামে চাঁদা দিতে হয়। নোয়াপাড়া অটোরিক্সা কল্যাণ সমিতির সাধারন সম্পাদক আমজাদ বলেন, কাপ্তাই রাস্তার মাথা অটোরিক্সা চালক সমিতিকে প্রতিটি গাড়ীকে ৫ টাকা করে চাঁদা দিতে হয়। অন্যান্য এলাকার সিএনজি অটোরিক্সাকে ১০ টাকা করে চাঁদা দিতে হয়। লাঠি নিয়ে সিএনজি নিয়ন্ত্রনের নামে সন্ত্রাসী কায়দায় চাঁদা আদায় করায় আইন শৃংখলা রক্ষা বহিনীর সদস্যরা কয়েকবার অভিযান চালিয়ে চাঁদা আদায়কারীদের আটক করা হলেও বন্ধ হয়নি চাঁদা আদায়। কাপ্তাই রাস্তার মাথা চালক সমিতির বিষয়ে কথা বলতে চাইলে চালক সমিতির কোনো নেতা এই নিয়ে কথা বলতে রাজি হয়নি।
Leave a Reply