চট্টগ্রাম রাঙামাটি মহাসড়ক রাউজানের অংশে দশ কিলোমিটার সড়কের আইল্যান্ডের মাঝখানে দৃষ্টিনন্দন গাঁদা ফুলের বাগান।পাশাপাশি রয়েছে বিদেশি খেজুর গাছ আর সবজি বাগান। এমন সৌন্দর্যময় দৃশ্য এখন পর্যটকসহ সকলের নজর কাঁড়ছে। যে কেউ রাউজানে প্রবেশ করলে মনে হবে একটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এবং দৃষ্টিনন্দন শহর । যা দেখতে মনে হবে ইউরোপের আদলে একটি স্মার্ট বাংলাদেশের রাউজান। সত্যিই অপরূপ এক দৃশ্য। যা আজকে প্রত্যেক উপজেলার মানুষের মুখে মুখে। হালদা নদীর সর্তারঘাট রাউজান-ঢালাই মুখ পর্যন্ত চট্টগ্রাম রাঙামাটি মহাসড়কের আইল্যান্ডের মাঝখানে কমলা ও হলুদ রঙের গাঁদা ফুলের বাগান আর দৃষ্টিনন্দন বিদেশি খেজুর গাছ সৌন্দর্যের আলো ছড়াচ্ছে। পথচারীরা দৃষ্টিনন্দন ফুলের বাগানের পাশে দাঁড়িয়ে ও আইল্যান্ডে বসে তুলছে ছবি আর সেলফি। রাউজানের সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী’র নির্দেশনায় এবং সহযোগিতায় মহাসড়কে এরকম একটি দৃষ্টিনন্দন ফুলের বাগান দৃশ্যমান । সত্যিই তিনি পিংক, গ্রিন ও ক্লিন রাউজানের রূপকার। জানা যায়, ফজলে করিম চৌধুরী রাঙামাটি মহাসড়কের আইল্যান্ডে এক হাজার বিদেশি খেজুর গাছ রোপন করেন। এ বাগানের পরিচর্যার সার্বিক তত্ত্বাবধানে দায়িত্বে থাকা রাউজান পৌরসভার মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ বলেন এ সবকিছু সম্ভব হয়েছে সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর কারণে। যা আজকে রাউজান পৌসভার মহাসড়কের আইল্যান্ড ফুলময় সুরভিত। এ ফুলের চারা রোপনের সময় পৌরসভার উৎপাদিত ব্ল্যাক সোলজার জৈব সার ব্যবহার করা হয়েছে। বাগান তৈরী কাজে দায়িত্বে থাকা পৌর আওয়ামী লীগ নেতা সালাউদ্দিন বলেন, এম.পি মহোদয় চেয়েছেন ৫লাখ ফুল ফোটানোর জন্য ইতোমধ্যে ৪লাখ ফুল ফোটেছে এবং বাকি ফুল আশাকরি কয়েকদিনের মধ্যে ফোটে যাবে। সুলতানপুর উচচ বিদ্যালয়ের সভাপতি আলহাজ্ব নুরুল আমিন বলেন আমার জীবনে মহাসড়কে এরকম ফুলের বাগান কোথাও দেখিনি যা আজকে রাউজানে এম.পি মহোদয় দেখিয়েছেন। পশ্চিম সুলতানপুর সরকারি প্রাইমারি স্কুলের সভাপতি মোরশেদ আলম বলেন এম.পি মহোদয় একজন সৃজনশীল ব্যক্তি মহাসড়কে ফুলের বাগান তৈরি করে তিনি তা আবারও প্রমাণ করেছেন। চার কিলোমিটার সড়কে রোপণ করা হয়েছে গাঁদা ফুল। চট্টগ্রাম রাঙামাটি মহাসড়কের রাউজান অংশে সাড়ে ১৩ হাজার বিভিন্ন প্রজাতির গাঁদা ফুলের চারা রোপন করা হয়েছে। প্রায় চার লাখ টাকার খরচ হয়েছে। সাড়ে ১৩ হাজার বিভিন্ন প্রজাতির গাঁদা ফুলের চারা লাগানো হয়েছে। বাগান পরিচর্যার জন্য রাখা হয়েছে শ্রমিক। মোরশেদ বলেন, মানুষের চিন্তাচেতনার পরিবর্তন ঘটাতে আইল্যান্ডের মাঝখানে বিভিন্ন প্রজাতির গাঁদা ফুলের গাছ লাগানো হয়েছে। ঝাঁকে ঝাঁকে ফুটেছে ফুল, দেখতেও ভালো লাগে।এই সড়কের সৌন্দর্য এখন পথচারী ও যাত্রীদের নজর কাড়ছে। সড়কের ফুল যাতে কেউ না ছিঁড়ে সে জন্য সাইনবোর্ড দিয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। পথচারীরা জানান,এমন সৌন্দর্যময় ফুলের বাগান দেখেই মুগ্ধ তাঁরা। এছাড়াও রাউজানের সাংসদ এর নির্দেশনায় উপজেলার সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আঙ্গিনায় এবং ছাদে গড়ে তোলা হয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির ফুলের বাগান আর ফলের বাগানও।
Leave a Reply